ভাড়াটে উচ্ছেদ নিয়ে উত্তপ্ত বাজার : পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ

18th October 2020 3:06 pm বর্ধমান
ভাড়াটে উচ্ছেদ নিয়ে উত্তপ্ত বাজার : পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : ভাড়াটে উচ্ছেদ নিয়ে উত্তপ্ত পানাগড় বাজার। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ। পানাগড় বাজারে ভাড়াটে দোকানদার কে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন দোকান মালিক। আর তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার পানাগড় বাজার। এদিন একদল মহিলা সহ পানাগড় বাজারের বাসিন্দারা পানাগড় বাজারে ভিড় জমান। চিৎকার চেঁচামেচি তে ভিড় ক্রমশই বাড়তে থাকে। সুব্রত দত্ত নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ তার দোকান মালিক তাকে জোর করে দোকান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও তাকে জোর করে দোকান ছাড়ার কথাও বলেন। গত কয়েকদিন আগে ভাড়াটে সুব্রত বাবুকে না জানিয়ে তার দোকান মালিক কৌশিক রায় দোকানের সাটারের তালা ভেঙে সমস্ত কিছু রাস্তায় বার করে দিয়ে তার দোকান ঘরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে জানিয়েও কোনো ফল হয় নি। 
যদিও কৌশিক রায় জানিয়েছেন বহুবার ভাড়াটে কে দোকান ছাড়ার কথা বলা হয়েছে তিনি দোকান ছাড়েন নি। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে দোকান বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে ভাড়াও পাচ্ছেন না। বর্তমানে সেই দোকান ঘরটি তিনি মেরামত করে সেখানে ব্যবসা শুরু করতে চান।
পানাগড় বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ভাড়াটে কে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার মেরামতের কাজ আটকে দেন।এলাকা ক্রমশই উত্তপ্ত হতে থাকলে
ঘটনার খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আপাতত কাজ বন্ধ রেখে দোকান ঘরটি তালা মেরে কাঁকসা পঞ্চায়েতের কাছে চাবি দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রশাসনের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার কথা বলে যায় পুলিশ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।